"জাতীয় সরকার” এর রূপরেখার উপর নাগরিক ভাবনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়,উক্ত সভা থেকে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ জনগনের উদ্যেশ্যে জাতীয় সরকারের রুপরেখা প্রদান করেন
জাতীয় সরকার হল সেই সরকার ব্যবস্থা যেখানে একটি দেশের ও জাতির কল্যাণকর রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার ঐক্যবদ্ধ ও সমবেত সরকার গঠন ও এর সুশাসনের নিশ্চিৎ প্রতিফলন। যেখানে জনগণের ইতিবাচক, কল্যাণকর সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এর ফল জনগন উপভোগ করবে। এখানে শাসক কখনো শোষক হবেনা। শাসক সবসময় জনগনের দ্বারা মনোনীত ও জনগনের সদিচ্ছার প্রতিফলনকারী হবেন। এখানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পরিচালন নিশ্চিৎ হবে তথা জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সরকার কিভাবে হবে?
জুলাই বিপ্লবের/গণঅভুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে আরো শক্তিশালী কার্য্যকর ও গতিশীল করতে এ সরকারের কলেবর, যুক্তিক বৃদ্ধি সাধন ও মৌলিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করণের ন্যায্য কল্যাণকর রাষ্ট্র পরিচালননীতি অনুসরণের (সাংবিধানিক ধারা প্রবর্তন করা) মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বের মধ্য হতে ন্যায় দন্ডে মান উত্তীর্ণ হয়েছেন এমন সর্বজন স্বীকৃত সত্যিকার ভালো মানুষ দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে আদর্শ জনপ্রতিনিধি, সমাজবিদ, পেশাজীবি ব্যক্তিদের নিয়ে আগামী ৪/৫ বছরের জন্য জনকল্যাণ মূলক সরকার গঠন করা। এখানে থাকবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিনিধীর সাথে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের আদর্শিক মানদন্ডে উত্তীর্ণ নেতৃত্ব অংশগ্রহণের মাধ্যমে কল্যাণকর, গঠনমূলক ইতিবাচক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সরকার গঠিত হবে।
জাতীয় সরকারের রূপরেখাঃ
রাষ্ট্রপতি (জনাব ড. মুহাম্মদ ইউনূস)
উপ-রাষ্ট্রপতি (জনাব ড. বদিউল আলম মজুমদার)
প্রধান মন্ত্রি (জনাব তারেক রহমান)
উপ প্রধান মন্ত্রি (জনাব ডাঃ শফিকুর রহমান)
মন্ত্রণালয় ও দায়িত্ব প্রাপ্ত উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনঃবন্টন।
নতুন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন যারা তারা শুধুমাত্র প্রতিমন্ত্রি ও উপমন্ত্রি পদে নিযুক্ত হবেন।
এক্ষেত্রে যে আনুপাতিক হার অনুসরণ করা হবে।
বিএনপি: ২৫% ১০০%
জামায়ত: ২০% ১০০%
এনসিপি: ১৫% ১০০%
ইসলামি আন্দোলন: ৫% ১০০%
বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি: ১০% ১০০%
বাকী রাজনৈতিক দল হতে: ২৫% ১০০%
উপরোক্ত কাঠামোর উপর ভিত্তি করে বর্তমান সংস্কার কমিটি গুলো রাষ্ট্র পরিচালনা নীতি প্রণয়ন করতে পারেন আর একে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার "জাতীয় সনদ” বলা যেতে পারে। জাতীয় সনদে বর্তমান সংবিধানে অপরিসীম প্রধানমন্ত্রির ক্ষমতাকে রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-
প্রধানমন্ত্রিদের বন্টনের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমতা আনয়ন করা হবে এবং স্বেচ্ছাচারী ও স্বেচ্ছাচারী মনোভাব মুক্ত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীয়করণ/সমতা আনা হবে।
এজন্য রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, সমাজ বিজ্ঞানী, সুশীল সমাজ প্রতিনিধী, বিশিষ্ট জন সহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণের মতামত গ্রহণ করা হবে।
