বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ মানববন্ধন

২৮ মে সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে 

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


 নারী ও বিশোরীদের জীবনে ঋতু একটি প্রকৃতি এবংতাবিক প্রক্রিয়া। প্রতিটি নারীকেই এই প্রক্রিয়ার যা দিয়ে যেতে হয়। গড়ে একজন নারী জীবনে ৩৮ বছর মানিকচক্রের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করে এবং গড়ে একজন নারীয় জীবনে ৪৫০ বার মালিকয়জ সংঘটিত হয়। আদিক সম্পর্কে প্রথাযথ তথ্য পাওয়া, নিরাপত্তা এবং মর্যাদার সাথে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা করার একটি মানবাধিকার। মানিক গাও গানেও প্রনয়ন্ত্রের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 



সামাজিক নিয়মবিধি, বিশ্বাস বা উতিনীতি এবং বালির হ্যামারদিকের সময় নারী ও কিশোরীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণকে সীমিত করে তোলাসহ নারীর সামগ্রিক জামাতাহনকে ভাসমান্ত করে তোলে। এ খাড়ায়, পরিষ্কার পানি, উপযুক্ত স্যানিটেশন সুবিধা এবং আনুষঙ্গিক স্বাস্থ্যবান্ধব সুযোগ-সুবিধার অভাব নারীদের জন্য তাদের হাদিক অস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে কঠিন করে তোলে। আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিশোরী এবং নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য এবং সহায়ক অন্যান্য উপকরণ সামর্থের বাইরে। ফলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তারা ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ যাবহার করে থাকে। যার কারনে তাদের অনেকেই যৌন ও রাজননতন্ত্রের সংক্রমণ, মূত্রনালির সংক্রমণজনিত যোগে আক্রান্ত হয়। সামগ্রিক অর্থে বিশ্বের অন্যান্য দেশের নারীদের তুলনায় বাংলাদেশের নারীরা তাদের মাসিবের সময় শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বেশী হন। অন্যদিকে, মাসিককালীন স্বাস্থ্যব্যবস্থাপনা শুধুমাত্র পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থাবিধি, যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য এবং অধিকারের সাথেই জড়িত নয়, এটি নারীর শিক্ষা, ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গসমতার সাথেও সম্পর্কিত।




মানিক স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অবস্থা।

UNESCOর মতে মাসিক স্বাস্থ্যের জন্য বয়ঃসন্ধি সংক্রান্ত শিক্ষা, মাসিক সংক্রান্ত উপকরণ, সাধান, পানি, নিরাপদ টয়লেট ও বা ফেলার উপযুক্ত জায়গা প্রয়োজন।কিন্তু সীমিত সম্পদ, বিদ্যমান অবকাঠামো এবং যথাযথ উদ্যোগের অভাবে অনেষ স্থাপই এইসব মুভির থাকেন। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেজলাইন ২০১৪ অনুযায়ী মাত্র গ্র৪% বিদ্যালয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার আলাদা জায়গা রয়েছে। স্কুলগুলিতে পানি, স্যানিটেশন ও এর স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থাপনার অভাব প্রকট। ৮৬% শিক্ষার্থী মাসিকের সময় পুরানো কাপড় ব্যবহার করে। প্রায় একচতুর্থাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী মাসিককালীন সময়ে স্কুলে যায়না এবং প্রায় এক তৃতীয়াংশ মনে করে মাসিক সমস্যা স্কুলের কর্মকান্ডে তাদের স্বাভাবিক অংশগ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। ২০১৬ সালে নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসী-এর অর্থায়নে সিমান্ডি-এর সহায়তায় বিএনপিএস পরিচালিত 'ঋতু' প্রকজের আওতা নেত্রকোনা জেলায় পরিচালিত মাসিক স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক বেজলাইন সার্ভে (যেখানে নেত্রকোনা জেলার ১৪৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০৪৬জন। মেয়েশিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে) অনুযায়ী ৫৩% মেয়েশিক্ষার্থী মাসিকের সময় কমপক্ষে ৩দিন বিদ্যালয়ে যায়না।




 স্কুলে টয়লেটের ভেতরে বা কাছাকাছি সাবান-পানির কোনো ব্যবস্থা না থাকা, নিরাপদ পানির নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ না থাকা, টয়লেটের দরজা, ছিটকানি-তালা-ব্যক্তিগত গোপনীয়তা জন্য প্রাচীর ঠিকমতো না থাকা, টয়লেট পরিচ্ছন্নতার টেকসই ব্যবস্থার অভাব, পর্যাপ্ত আলো না থাকা, ঢাকনা যুক্ত কন্টেইনার, মাসিকের উপকরণ অপসারণের টেকসই ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে ৭৫% মেয়েশিক্ষার্থী মাসিকের সময় বিদ্যালয়ের টয়লেটে যায় না এবং তাদের ব্যবহৃত কাপড় বা স্যানিটারি প্যাড বদলায় না। বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে ৯১% স্কুল ছাত্রী মাসিকের সময় অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করে। মাসিক সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধির সঠিক তথ্য তাদের জানা থাকে না। ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮ অনুযায়ী মাত্র ৩০-৩৬% মেয়ে প্রথম মাসিকের আগে স্বাস্থ্যবিধি জানে। এই সার্ভেতে আরও দেখা যায়, ৬৮টি নারীরা এবং ৫৫% কিশোরীরা এখনও মাসিক ব্যবস্থাপনায় পুরোনো কাপড় ব্যবহার করে। কিশোরীদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ স্যানিটারি ন্যাপকিন বা প্যাড ব্যবহার করে, যেখানে দরিদ্র পরিবারগুলোর কিশোরী ও নারীদের মধ্যে গ্যাড ব্যবহারের হার যথাক্রমে ১১ শতাংশ ও ৬ শতাংশ। একইভাবে পারিবারিক পরিসরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো টয়লেটে/বাথরুমে যে এমনকি পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। পরিবারের বাজেটে নায়ীত মাসিক ব্যবস্থাপনার মতো অতি প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকে না। এছাড়া অনেকে কেমিক্যালযুক্ত সুগন্ধি স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

এছাড়া কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যণীয় যে, নারীবান্ধব ও মাসিক বান্ধব কর্মপরিবেশের বিষয়টি কম গুরুত্ব পায়। উদাহরণগুরুপ বলা যায়, গার্মেন্টস সেক্টর, যেখানে সর্বোচ্চসংখ্যক নারীরা কাজ করেন, সেখানে হাতেগোনা ফ্যাক্টরী ব্যতিত বেশির ভাগ ফ্যাক্টরীতে নারীদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকলেও টয়লেটের ভেতরে বা কাছাকাছি সাবান-পানির কোনো ব্যবস্থা না থাকা, নিরাপদ পানির নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ না থাকা, টয়লেট পরিজ্ঞাতার টেকসই ব্যবস্থার অভাব, পর্যাপ্ত আলো না থাকা, ঢাকনা যুক্ত কন্টেইনার, মাসিকের উপকরণ অপসারণ ও কর্মা ব্যবস্থাপনার টেকসই ব্যবস্থার অভাব রয়েছে।

মাসিক স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতি উদ্যোগ

বাংলাদেশ সরকার প্রণীত জাতীয় মাসিক গ্রন্থাবিধি ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্র ২০২১' এ বিষয়ে নতুনমাত্রা যুক্ত করেছে। এয়াড়া সরকারের আ প্রভিন্ন নীতিমালা, যেমন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০, জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১, জাতীয় রৈপোর স্বাস্থ্য রৌশলপত্র ২০১৭-২০৩০, বাংলাদেশ জনসংখ্যা নীতি ২০১২, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি নীতি ২০১৫, জেন্ডার ইক্যুইটি অ্যাকশন প্ল্যান ২০১৪-২০২৪, জাতীয় মনোসামাজিক কাউন্সিলিং প্রাড়িখালা ২০১৬ (খসড়া), গল্পখার সহায়তা প্রকল্প, সামাজিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো ২০১৭, ইত্যাদিতে যাসিক ব্যবস্থাপনা, যৌন জেডারসমতা, ম্যাসন্ধিকালীন কিশোরী, ইত্যাদি বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। ২০১৫ ও ২০২৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় যেখানে সকল মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মানিকবান্ধব টয়লেট নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যেখানে মাসিকের সময় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু, এই প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়ন যথাযথভাবে হচ্ছে না। তবে নতুন স্কুলভবনের। ডিয়াইসে 'ওয়াশব্লক' অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, যেখানে মেয়েদের জন্যে আলাদ্য টয়লেট নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া, মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) সাথে জড়িত, যেমন, (লক্ষ্য ৩) সব বয়সের সকলের ও মানুষের জন্য সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা এবং জীবন-মানের উন্নয়ান করা। (লক্ষ্য ৬) সকলের জন্য পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, যা অর্জন করার জন্য নীতিনির্ধারকদের যথাযথ মনোযোগ প্রয়োজন। (লক্ষ্য ৪) সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুনগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি, যেযেত্ব মাসিক অস্থাবিধি ব্যবস্থাপনা স্কুলে মেয়েদের উপস্থিতি এবং কর্মদক্ষতার সাথে সম্পর্কিত বিষয়। (লক্ষ্য ৫) জেন্ডার সমতা অর্জন এবং সকল নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন। (লক্ষ্য ৮) সকলের অন্য পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং শোভন কর্মযুযোগ সৃষ্টি এবং স্থিতিশীল, চুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্থন। এসডিজি এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংস্থার কার্যক্রম ও আনুমানিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে বেসরকারি বানিজ্যিক সংস্থা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমুখ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে। যেখানে মেয়েদের উন্নয়নের জন্য স্কুলে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও আস্থাবিধি, মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার সুবিধাগুলোর সহজলভ্যতা অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেখানে বাংলাদেশে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়টি এখনো অবহেলিত।

বসন্ধিকাল, ঋতুস্রাব, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ের আঙ্গিকে মাধ্যমিক ও দাখিল পর্যায়ের পাঠ্যপুক্ষক ও পাঠদান

মাসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সঠিক এবং ব্যাপক তথ্যের সম্প্রসারণ এবং মাসিকঅনুকূল সেবা প্রদানমূলক পরিবেশ তৈরি একান্ত প্রয়োজন। শিখন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত সহায়ক সামগ্রী হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক। বিশেষত উন্নয়নশীল দেশসমূহের শ্রেণী কক্ষে যেখানে অন্যান্য। শিখন-সামগ্রীর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই, পাঠ সহায়ক উপকরণেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে সেখানে পাঠাপুক্ষকই প্রধান শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বিবেচিত, তাই পাঠ্যপুস্তকের গুরুত্ব অপরিসীম। মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে ঘর থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বইয়ে বয়ঃসন্ধিকাল, ঋতুস্রাব, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়গুলো আছে, তবে এক্ষেত্রে তথ্যের অপর্যাপ্ততা ও যুক্তিসিদ্ধ বিন্যাসের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে, এছাড়া মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। অন্যদিকে এবিষয়ে ট্যাবু ও অসচেতনতার কারণে শিক্ষকরাও অনেক সময় পাঠদানের ক্ষেত্রে এবিষয়গুলোতে এড়িয়ে যান।



মাসিক স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে করণীয়

মাসিক স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নেপাঠ্যক্রম পূর্ণবিন্যাস এবং পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তকরণ। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্যক্রম পূর্ণবিন্যাস এবং পাঠ্যপুস্তকে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সম্পৃক্ত যৌন শিক্ষা যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়নে উদ্বুদ্ধকরণ। বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করে পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে, সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া মাসিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ২০২৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বান্ধব টয়লেট ও মাসিকের সময় প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রদান করে প্রজ্ঞাপন যথাযথ বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দসহ মনিটরিং ব্যাবস্থা জোরদার ক হবে। সেবার উন্নয়ন পরিকল্পনা (এসডিপি) ২০১১-২০২৫ এর নির্দেশনা অনুসারে, ১১৮৭ এরপরিবর্তে ১৫০ জন ছাত্রীর জন্য নতুন এক পৃথক টয়লেট তৈরি ও পরিচালনার জনা বাজেট বরাদ্দে অবশ্যই স্কুলকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া স্কুলে মানিক গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধকরণ দরকার যা মেয়েদের স্কুলে যেতে ও বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণের ঘুড়ি ও আত্মবিশ্বাই বৃদ্ধি করবে।

সর্বোপরি মাসিক স্বাস্থ্য যেহেতু যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যেরই একটি অংশ তাই পরিবার, সমায় এবং রাষ্ট্রকে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে মেয়েশিশুরা এমনপরিবেশে বেড়ে উঠবে যেখানে মাসিককে স্বাস্থ্যসম্মত ও ইতিবাচক হিসেবে দেখা হয়। এটি নিশ্চির করতে হবে যে মোডাশিম ও নারীরা প্রথম মাসিকসহ মাসিককালীন তাদের পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের সহযোগিতা পায়। ব্যবহৃত জিনিস দেশে দেওয়ার ব্যাখ্যার যেশিরায়াও মানুষ তেমন কোনো চিন্তভাবনা করে না। কিন্তু এ ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা উচিত। মানিকের বর্মা অপসারণ ব্যবস্থাপনা দেন কিশোরী এল নারীদের সামাজিক বা সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাধামন্ত্র না করে যে বিষয়টিকেও গুরুত্বের সংঘ বিবেচনায় নেয়া জরুরী। মাসিক প্রশ্নে নিরবতা ভাঙ্গুন, নিরাপদ ও মর্যাদা সম্বলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে নারীও কিশোরীদের স্বাভাবিক বিকাশ নিশ্চিত করুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post