বিয়েতে রাজি না হওয়া স্বর্ণা আক্তার আঁখির নিমর্ম মৃত্যু।

বিয়েতে রাজি না হওয়া স্বর্ণা আক্তার আঁখির নিমর্ম মৃত্যু।


সুরেশসর গ্রামের সুমন খানের মেয়ে স্বর্ণা আক্তার আঁখি(১৪)বছর ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।পড়ালেখা করতো

চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।


বড় দুবলা পাড়া গ্রামের আসলাম এর ছেলে শামীম(২১)বছর

বেড়াতে আসেন খালার বাসায়।আর তখন দেখতে পান স্বর্ণা আক্তার আঁখি কে। স্বর্ণাকে শামীমের পছন্দ হবায় সে তার পরিবার কে বিষয়টা জানায়।

তারা স্বর্ণা আক্তার আঁখি দেখে তাদেরও পছন্দ হয়।

তারপর বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। 


স্বর্ণার বয়স কম হওয়ায় পরিবার বিয়ে নারাজ।এতে ক্ষিপ্ত হন শামীম ও তার পরিবার।এ ক্ষোভে এবং বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়  স্বর্ণা আক্তার আঁখি কে ২০/০২/২০২৫ অপহরণ করেন।তারা স্বণা আক্তার আঁখি কে অপহরণ করে কেরানিগঞ্জের দক্ষিণ চুনকুটিয়া মান্নান হাজী বাড়ী হতে।


রাত্রী আক্তার স্বর্ণা কে যারা অপহরণ করেন তাদের নাম হলো।

১) শামীম

২)শামীম খালা

৩)শাপলা বেগম শামীমের মা

৪)আসলাম শামীমের বাবা।

৫)রাশেদ শামীমার হাসবেন্ড।

৬)সামাদ বেপারী শামীমের নানা


সহ মোট ৬ জন মিলে রাত্রী আক্তার স্বর্ণা কে অপহরণ করে চাটমোর লক্ষীপুর গ্রামে যায় সামাদ বেপারী বাড়ীত উঠে।

অপহরণের পর স্বর্ণার পরিবার কেরানী গঞ্জে থানায় সাধারণ ডাইরী করেন।পুলিশ তাদের সহায়তার আশ্বাস দেন।


কয়েকদিন পর স্বর্ণার পরিবার খোঁজ পায় শামীমে পরিবারও খালা সহ সবাই তাকে গৃহবদ্ধি করে রাখেন।পরিবার শামীমের নানার বাড়ী গেলে স্বর্ণাকে দেখার করতে বাধা দেয় পরে অনেক রিকেস্টের পর তাকে পরিবারে সামনে নিয়ে আসেন।তবে কোনো কথা বলতে দেয় নাই।


পরে শামীমের পরিবার স্বর্ণাকে নিয়ে ঢাকা ফিরবে বলে আশ্বাস দেয়।তারপর স্বর্ণার পরিবার ঢাকায় ফিরে আসেন।ঢাকায় ফিরে আসার ১০ দিন পর হঠাৎ খবর আসে স্বর্ণার মৃত্যেুর।


এ খবর শুনে পরিবার দ্রুত দেখতে যায়। স্বর্ণার মা দেখতে পায় স্বর্ণার গায়ে নির্যাতনের চিত্র।তার গায়ের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগও শরীলের বিভিন্ন অংশের কামড়ে দাগ।এবং নিম্মম নির্যাতন করে তাকে মারা হয়েছে।



এমন নির্যাতন যেন আর কোনো মেয়ের না হয়।এবং কষ্ট যেন আর কোনো বাবা মা কে সহ্য করতে না হয়।তাই দোষীদের ফাঁসি চাই।দ্রত যেন দোষীরা গ্রেফতার জন্য সরকারের কাছে তাদের আবেদন।


সরকার যেন এ হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওয়াতায় নিয়ে এসে ফাঁসি দেয়।এ সাথে স্বর্ণার স্কুলের সহ পাঠিদের দাবি দ্রুত যেন আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।এবং কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post