আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে 'শান্তি সমাবেশ

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে 'শান্তি সমাবেশ'

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি শান্তিরক্ষা মিশনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান

আজ ২৮ মে ২০২৫ বুধবার, সকাল ১১:৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস (International Day of UN Peacekeepers) উপলক্ষে সিএলএনবি, বৈষম্য বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবার কল্যাণ পরিষদ এবং পিচকিপার্স মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ'র যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শাস্তি সমাবেশে সভাপতির হারুনুর রশিদ বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও অবদান আজ বিশ্ব স্বীকৃত।


শান্তিরক্ষা মিশনের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম।

হারুনুর রশিদ বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সামরিক ও পুলিশ সদস্য পাঠানো দেশ বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের ১২টি দেশে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত রয়েছেন। বিশ্বের ৪৩টি দেশের ৬৩টি মিশনে ২ লক্ষাধিক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ১৯৮৮ সন এ পর্যন্ত ৩ বিলিয়নের বেশি ডলার আয় করেছে। উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত শান্তিরক্ষা সেনাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আরো প্রায় ২ কোটি লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান সহ বৎসরে প্রায় ৮০-৮৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার সুযোগ রয়েছে।



সমাবেশে অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, আমাদের গৌরব বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা কাজ করছেন। সংঘাতময় দেশে শান্তি স্থাপন, দুর্গতদের উদ্ধার, আর্তের সেবা, অসুস্থ ও আহতদের সেবা ও দূর্গম এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের ১৬৮ জনকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। তাদের নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগ দেশের জন্য অনেক গৌরব বয়ে এনেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত। এ অবদানের কারণে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশ এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে।



আলোচনা শেষে শান্তিরক্ষা মিশনে মৃত্যুবরণকারী দেশের সব শান্তিসেনা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

শান্তি সমাবেশের আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাবেক জেলা জজ আনিসুর রহমান কামাল, এ্যাডভোকেট এম জাবির হোসেন, লেঃ কর্ণেল (অবঃ) আবু ইউসুফ জুবায়ের উল্লাহ, জননেতা নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর, সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বাবলু, প্রবীন বামপন্থী নেতা রফিকুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও ভোলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বইয়ের লেখক কালাম ফয়েজী, সমাজসেবক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি, ফয়েজ হোসেন, সমতা পার্টির আহবায়ক হানিফ বাংলাদেশী প্রমুখ।

Post a Comment

Previous Post Next Post